Home » ট্রাভেল ব্লগিং কীভাবে শুরু করবেন?
ট্রাভেল ব্লগিং কীভাবে শুরু করবেন

ট্রাভেল ব্লগিং কীভাবে শুরু করবেন?

ব্লগিং হলো এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে পারবেন। আপনি যেকোনো বিষয়ের ওপর লেখালেখি করে সেই বিষয়টা সবাইকে জানাতে পারবেন। ভ্রমণ নিয়ে লেখালেখি করাকে ট্রাভেল ব্লগিং বলা হয়ে থাকে। কেউ কেউ ব্লগিং শখের বশে করে থাকে, আবার কেউ কেউ টাকা উপার্জনের জন্যও করে। যদি আপনার ধৈর্য আর দক্ষতা থাকে তবে আপনি ট্রাভেল ব্লগিং করেও প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন। এই পোস্টে আমরা ট্রাভেল ব্লগিং কীভাবে শুরু করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব!

ট্রাভেল ব্লগিং কীভাবে শুরু করবেন?

ব্লগিং করার প্রথম শর্ত হলো আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। আর ওয়েবসাইটের জন্য প্রথমে আপনাকে যেটা করতে হবে একটা নাম সিলেক্ট করতে হবে যেটা আপনার ওয়েবসাইটের নাম হবে। ওয়েবের ভাষায় যেটাকে বলা হয় ডোমেইন। ডোমেইন নেইম সিলেক্টের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।

  • আপনার ডোমেইনটি অবশ্যই টপ লেভেল ( .net, .com, .org) হতে হবে। কারণ আপনার আয়ের প্রথম উপায় হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আর এ ক্ষেত্রে টপ লেভেল ডোমেইন ছাড়া আপনি অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ পাবেন না।
  • নামটা সিলেক্ট করতে হবে ১৫ বর্ণের মধ্যে। এতে লিখতে এবং বলতে সুবিধা হবে, সেই সাথে এসইওতে সাহায্য পাবেন। যেমন: আমাদের বিজ্ঞান নিউজের ডোমেইনে মাত্র ১০টা বর্ণ!
  • নামের মধ্যে সংখ্যা আর ড্যাশ ব্যবহার করা যাবে না।
  • কোনো কিছুর (অন্য সাইট বা অন্য কোম্পানির) নকল করা যাবে না।

নাম সিলেক্ট করার পর আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এটা যদি আপনি নিজে পারেন তাহলে খুবই ভালো। না হলে আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কাউকে দিয়ে আপনার সাইটটি করিয়ে নিতে পারেন। ইচ্ছে হলে আমাদের মাধ্যমেও করাতে পারেন। [ব্লগ সাইট বানাতে আমাদের প্যাকেজটি দেখুন: Blog Making Package By Biggan News. ]

➡️ আরও পড়ুন: ব্লগ তৈরি করার নিয়ম!

ওয়েবসাইট রেডি হওয়ার পর আপনাকে ভ্রমণ বিষয়ক বিভিন্ন জিনিস নিয়ে লেখালেখি শুরু করতে হবে। অবশ্যই ইংরেজিতে। কারণ বাংলা ভাষায় ব্লগ লিখে আপনি অ্যাফিলিয়েট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। আপনি যেখানকার যা নিয়েই লিখেন না কেন, ভ্রমণে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে থাকা। কারণ ভ্রমণ মানেই অবশ্যই হোটেল থাকবে। আর এখানেই আপনার ইনকাম জেনারেট হবে। আপনি যেকোনো সাইট, যেমন: Hotelcombined, booking.com এর অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট নিয়ে হোটেলের অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে দিলে, সেখান থেকে যদি কেউ পার্সেস/বুকিং করে তাহলে আপনি ২০-৪০% পর্যন্ত কমিশন পাবেন। আর বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো বড়ো পর্যটনের জায়গাগুলোতে হোটেলের ভাড়া আকাশচুম্বি। আপনার লিংক থেকে প্রতিমাসে মাত্র ৫জনও সার্ভিস নিলে আপনি একটা ভালো বেতনের সমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ ছাড়া আপনার সাইট থেকে গুগল অ্যাডসেন্সসহ বিভিন্ন উপায়ে আরও এক্সট্রা ইনকাম জেনারেট করার উপায় তো থাকছেই!

➡️ আরও পড়ুন: নিজের ওয়েবসাইট থেকে কীভাবে বড় অঙ্কের টাকা আয় করবেন?

সফল হতে কত সময় লাগতে পারে?

এখানেই আসল খেলা বলতে পারেন। আপনি যখন আপনার লেখাটি লিখবেন সেটা অবশ্যই এসইও করে লিখতে হবে যাতে করে কেউ সার্চ দিলে আপনার লেখাটি সামনে আসে। আর এই এসইও র‍্যাংক পেতে আপনার ৬-১২ মাসও সময় লাগতে পারে। এসইও না বুঝলে আপনাকে কাউকে দিয়ে এসইও করিয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া আপনি চাইলে পেইড মার্কেটিংও করাতে পারেন। একটা চাকরি পেতে ১২-১৪ বছর পড়াশোনা করা লাগে। যদি ওই দিকে ১২ বছর সময় দিতে পারেন তাহলে এখানে ২ বছর সময় তো দিতেই হবে। কারণ এটার ইনকাম শুরু হলে শেষ বলে কিছু নেই। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ট্রাভেল ব্লগারের  আয় বছরে ৬লাখ মার্কিন ডলার। যা দিয়ে সে পুরো পৃথিবী ঘুরে বেড়ায়। ইচ্ছেশক্তি আর পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফলতা আসবে। এসইও সার্ভিস কিংবা ওয়েবসাইট বানাতে বিজ্ঞাননিউজের ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন।

➡️ আরও পড়ুন: ব্লগিং করে আয় করা কি আসলেই সম্ভব?

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন:

মন্তব্য করুন: