Home » বিবর্তন : আপনি কেন বিশ্বাস করবেন না?
বিবর্তন

বিবর্তন : আপনি কেন বিশ্বাস করবেন না?

আপনি যদি বিশ্বাস করেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের বানিয়ে পৃথিবীতে ছেড়ে দিয়েছে তবে ‘বিবর্তন’ এই লেখাটি আপনার জন্য নয় । আপনি এখান থেকে আর সামনে না আগানোই ভালো হবে।

ধরা হয়ে থাকে বিবর্তন তত্ত্ব হলো বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ তত্ত্বগুলোর মধ্যে একটি। জীবনকে ব্যাখ্যা করতে গেলে এই তত্ত্ব ছাড়া কোনো গতি নেই। এককোষী প্রাণ থেকে কীভাবে বহুকোষী প্রাণ হলো, কিংবা যুগ যুগ ধরে পৃথিবীতে হাজার লক্ষ কোটি প্রজাতির প্রাণির বিকাশ কীভাবে ঘটল, এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দেয় একমাত্র বিবর্তন তত্ত্বই।

মানুষ আশেপাশের বিভিন্ন তত্ত্বকেই মেনে নিয়েছে, কিন্তু বিবর্তন নিয়ে রয়েছে কিছুটা অবিশ্বাস। এখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ কিছুটা বাধা প্রদান করে থাকে। তবে আপনি যদি বিজ্ঞান ভালোবাসেন তবে অবশ্যই আলো আসবে। বিবর্তন তত্ত্ব বলতে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা শুধু একটা জায়গায় আটকে আছে তা হলো, ‘বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি’

বিবর্তন তত্ত্বের সরল ব্যাখ্যা:

আপনার চোখের সামনে ঘটে যাচ্ছে বিবর্তন। গাছে কলম দিয়ে নতুন গাছ বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। মাছ মাংসে নতুন নতুন জাত চলে আসছে। আপনি ব্রয়লার মুরগি খাচ্ছেন, অথচ বিশ্বাস করছেন না বিবর্তন বলে কিছু আছে। এটা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন আপনি নিজেই ভালো বলতে পারেন।

ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব বলে যে, প্রতিটা নতুন প্রাণিসত্ত্বা তার পিতামাতার চেয়ে একটু হলেও আলাদা। অর্থাৎ জিনগতভাবে পিতামাতার বৈশিষ্ট্য বংশধরদের মধ্যে সঞ্চারিত হলেও বংশধরেরা খুব সূক্ষ্মভাবে তাদের বাবা মায়ের তুলনায় অনন্য (ইউনিক)। এই পার্থক্যগুলো কখনো কখনো সন্তানকে সুবিধা দেয়, আবার কখনো বিপদে ফেলে। যেহেতু প্রাণিরা খাদ্য এবং যৌন সঙ্গীর জন্য পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতা করে, তাই যেসব প্রাণী “সুবিধাজনক পার্থক্য” বা উপকারী বৈশিষ্ট্য বহন করে, তারা অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং “অসুবিধাজনক পার্থক্য” বা অপকারী বৈশিষ্ট্য বহনকারীদের তুলনায় অনেক বেশি বংশধর উৎপন্ন করে। ফলে একটা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ভেতর উপকারী বৈশিষ্ট্য বহনকারীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং একসময় দেখা যায়, অপকারী বৈশিষ্ট্য বহনকারীরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

এখন চিন্তা করে দেখুন, বারবার যদি সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পার্থক্য বিশিষ্ট সন্তান-সন্তদি জন্ম নিতে থাকে, তাহলে কালের পরিক্রমায় আদি পিতামাতার তুলনায় সম্পূর্ণ নতুন একটা প্রজাতির উদ্ভব ঘটাটা কতটা স্বাভাবিক? আর এভাবেই ওয়ার্ম থেকে বিবর্তিত হয়েছে মাছ, মাছ উঠে এসেছে ডাঙায়, ডাঙার প্রাণিদের গজিয়েছে চারটা পা, চারপেয়ে জীবগুলোর দেহে গজিয়েছে চুল – আর – তাদের মধ্যে কেউ কেউ দুই পায়ে হাঁটা শুরু করেছে, নিজেদেরকে “মানুষ” বলে পরিচয় দিয়েছে আর একসময় বিবর্তন তত্ত্ব আবিষ্কার করে বসেছে!

অবশ্য এই বিষয়টা বিশ্বাস করা কষ্টকরই বটে। আপনি আপনার মা বাবার চেয়ে একটু ভিন্ন (যেমনঃ আপনার চুলের রঙ তাদের চেয়ে আলাদা হতে পারে, বা আপনি তাদের চেয়ে লম্বা হতে পারেন) – এই ব্যাপারটা মেনে নেওয়া এক জিনিস; আর আপনি অসংখ্য প্রজন্ম ধরে বিবর্তিত হতে হতে ওয়ার্ম থেকে আজকের “মানুষ” অবস্থানে এসেছেন, এটা মানা আরেক জিনিস। তবে কিনা, বিষয়টা তেতো হলেও সত্য। যারা এটা হজম করতে পারেন না, তাদেরকে বলবো, সবকিছু বাদ দিন। চলুন আপনাকে কিছু জিনিস দেখাই। হুট করে বিশ্বাস করার দরকার নেই যে, আপনার পূর্বপুরুষ ছিল এককোষী ব্যাকটেরিয়া। চলুন আপনার দরজার সামনে থেকে একটা অভিযান শুরু করি। এর মাধ্যমে আপনাকে দেখাব, চোখের সামনেই কীভাবে ঘটছে বিবর্তন।

১৮৫৯ সালে ডারউইনের “অন দা অরিজিন অফ স্পিসিজ” বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। বইটির শুরুতেই পাঠককে অনুরোধ করা হয় তার চারপাশের চেনা জগতটার উপর চোখ বুলাতে। এখানে দূরে অ্যামাজন বনের গহীনে যাওয়ার কথা বলেনি, যেখানে এখনো কারও পা পড়েনি। বরং বলা হয়েছে বাড়ির আশেপাশের প্রকৃতির দিকে তাকাতে। কারণ বিবর্তন নিজের চোখে দেখার জন্য কাউকে আসমুদ্রহিমাচল পার হতে হয় না, ঘর থেকে বাইরে এসে দাঁড়ালেই আপনি দেখতে পাবেন, কীভাবে বিভিন্ন প্রাণী আর উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়।

ডারউইন বুঝাতে চেয়েছিলেন চাষাবাদ এবং পশুপাখির প্রজননের ব্যাপারে। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ নিজেদের লাভের জন্য নির্দিষ্ট প্রজাতির পশুপাখির মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে বড় আকৃতির কিংবা শক্তিশালী পশুপাখির জন্ম দিতে আগ্রহী ছিল। ঠিক একইভাবে তারা অধিক উৎপাদনশীল ফসলের প্রজাতিও তৈরি করেছে। মানুষের পছন্দনীয় প্রজাতির মধ্যে এই যে কৃত্রিমভাবে প্রজনন ঘটানোর প্রক্রিয়া, একে বলে কৃত্রিম নির্বাচন (Artificial Selection)। আর এই কৃত্রিম নির্বাচন, বিবর্তনের মতো কাজ করে বলে ভেবেছিলেন ডারউইন।

ধরুন, আপনার একটা বন্য মুরগির খামার আছে। স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার সব মুরগি সমান সংখ্যক ডিম দেবে না। কেউ কম দেবে, কেউ বেশি দেবে। এখন যে মুরগিগুলো বেশি ডিম দেয়, আপনি চান তাদের সংখ্যা বাড়াবেন। কারণ তাতে আপনার খামারের লাভ হবে অনেক বেশি। তো, আপনি কী করবেন? প্রথমে খুঁজে বের করবেন বেশি ডিম পাড়া মুরগিগুলোকে। এরপর তাদের মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে উৎপন্ন করবেন ডিম। সেই ডিম ফুটিয়ে আপনি শুধুমাত্র ওই ডিম থেকে জন্ম নেওয়া মুরগিগুলোর মধ্যে প্রজনন হতে দেবেন। ফলে বেশি ডিম পাড়া মুরগির সংখ্যা বেড়ে যাবে। মুরগির প্রত্যেক প্রজন্মে যদি ধারাবাহিকভাবে আপনি এই প্রক্রিয়া করতে থাকেন, তাহলে একটা সময় দেখা যাবে, বন্য মুরগির (যারা কম ডিম দেয়) তুলনায় আপনি বেশি ডিম পাড়া মুরগির একটা আলাদা গোষ্ঠী তৈরি করে ফেলেছেন।

আপনি কেন বিবর্তন বিশ্বাস করবেন না?

 

এবার বুঝতে পারছেন তো, কীভাবে এখন “ব্রয়লার মুরগি” নামে আলাদা একটা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে সারা বিশ্বে? খেয়াল করে দেখেছেন, এরা দেখতে বন্য মুরগির চেয়ে কতটা ভিন্ন? কিংবা কত বেশি পরিমাণে মাংস তাদের দেহে? অথচ এদের পূর্বপুরুষ কিন্তু বন্য মুরগিই!

এটাকেই বিবর্তন বলছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক স্টিভ জোন্স। তাঁর মতে, “বিবর্তন আর কিছুই না, শুধু অনেকগুলো দুর্ঘটনার মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি কাঠামো।”

আপনার মনে হতে পারে, প্রজননের মাধ্যমে কয়েকটা মাত্র পরিবর্তন আসে। কিন্তু না, বাস্তবতা হলো, এই পরিবর্তনের কোনো শেষই নেই। ডারউইন লিখেছিলেন, “এমন কোনো চলমান প্রক্রিয়া দেখা যায়নি, যার চলন থেমে গেছে। সবচেয়ে প্রাচীন কৃষিজাত ফসল (যেমন: গম) এখনও নতুন প্রজাতির জন্ম দিতে সক্ষম। আমাদের প্রাচীন গৃহপালিত পশুপাখিরাও দ্রুত উন্নতি কিংবা পরিবর্তনে সক্ষম।”

প্রজননকে ডারউইন বলেছিলেন “মানুষের তত্ত্বাবধানে ঘটে চলা বিবর্তন”। এর মাধ্যমে বুঝা যায়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে যে পরিবর্তনগুলো ঘটে, সেগুলো একত্রিত হয়ে নতুন একটা প্রজাতি সৃষ্টি করতে পারে। জোন্সের মতে, “এটা অনিবার্য। এটা ঘটবেই।” তবে সত্য যে, কৃত্রিম নির্বাচনের মাধ্যমে বেশি ডিম পাড়া মুরগির গোষ্ঠী তৈরি করার চেয়ে Natural Selection বা প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হওয়া অনেক বড় একটা ব্যাপার।

বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী, এই মুরগি এসেছে ডাইনোসর থেকে, আর ডাইনোসর কোথা থেকে এসেছে? জি হ্যাঁ, মাছ থেকে। কিন্তু কীভাবে আমরা এটা বিশ্বাস করব? আমরা তো এটা দেখতে পাচ্ছি না!

হ্যাঁ, এটা দেখতে পাচ্ছি না কারণ বিবর্তনের মাধ্যমে বড়সড় পরিবর্তন ঘটতে প্রচুর সময় লাগে। তাই প্রাকৃতিক বিবর্তনের প্রমাণ চাইলে আপনাকে চোখ বুলাতে হবে প্রাচীন তথ্য উপাত্তের উপর, তাকাতে হবে ফসিলের দিকে।

বিবর্তন
চারপেয়ে সাপের ফসিল

জোন্সের মতে, “ফসিল রেকর্ড থেকেই বিবর্তনের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়!” 

ফসিল রেকর্ড থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, সময়ের সাথে সাথে পৃথিবীতে জীবন পরিবর্তিত হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, ডারউইনের অরিজিন অফ স্পিসিজ বইটির প্রতি ছয় পৃষ্ঠার মধ্যে একটা পৃষ্ঠায় ফসিল রেকর্ড দিয়ে প্রমাণ দেখানো হয়েছে।

সবচেয়ে প্রাচীন ফসিল হিসেবে পাওয়া গেছে এককোষী প্রাণিকে, যেমন: ব্যাকটেরিয়া। এর অনেক অনেক বছর পরে পাওয়া গেছে অপেক্ষাকৃত জটিল প্রাণের ফসিল, যেমন: বিভিন্ন উদ্ভিদ এবং জন্তু। বিভিন্ন জন্তুর ফসিলের মধ্যে মাছের ফসিল পাওয়া গেছে উভচর, পাখি কিংবা স্তন্যপায়ী সবার আগে। মানুষ প্রজাতির সবচেয়ে কাছের আত্মীয়, লেজবিহীন শিম্পাঞ্জি বা গরিলার (যাদেরকে আমরা সাধারণভাবে এপ বলি) ফসিল পাওয়া গেছে পাথরের একদম নতুন স্তরে।

একটা প্রজাতি থেকে আরেকটা প্রজাতির উদ্ভব ঘটেছে, এটা কীভাবে নিশ্চিত হবো?

ফসিলগুলোকে ভালো করে পরীক্ষা করলেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণির সাথে আজকালকার জীবিত অনেক প্রাণির সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এটা থেকে অনেক ক্ষেত্রে নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে যে, একটা থেকে আরেকটা এসেছে। যেমন, ২০১৪ সালে গবেষকরা ৫৫ মিলিয়ন বছরের পুরানো এক মাংসাশী প্রাণির (Dormaalocyon) ফসিল সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন, যাকে এ যুগের সিংহ, বাঘ আর ভালুকের সাধারণ পূর্বপুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। প্রাণিটির দাঁতের আকৃতি এই সম্ভাবনাকে দৃঢ় করেছে।

কিন্তু এরপরও আপনার সন্দেহ থাকতে পারে। মনে হতে পারে বাঘ, সিংহ, ভালুক কিংবা Dormaalocyon-এর হয়তো একই রকম দাঁত আছে। কিন্তু তারপরও তো তারা সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতির প্রাণী! তাহলে কীভাবে আমরা সত্যিই একটা সলিড প্রমাণ পেতে পারি যে, একটা প্রজাতি (Dormaalocyon) থেকে বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে আরেকটা প্রজাতি (বাঘ) এসেছে? তখন ফসিল রেকর্ড ছাড়া গতি নেই! ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক স্টিভ জোন্স বলেন, “যদি তুমি ফসিল রেকর্ডের দিকে তাকাও, তাহলে দেখতে পাবে একটা নির্দিষ্ট গঠন বেশ কিছুকাল রাজত্ব করেছে, এবং এরপর এসেছে আরেকটা নির্দিষ্ট গঠন, যেটা কিনা আগেরটার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন!” 

তাহলে এই দুই গঠনের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পাব কীভাবে? কঠিন প্রশ্ন! কিন্তু উত্তর সোজা! এখানে চলে আসবে ট্রানজিশনাল ফসিলের কথা।

যতই আমরা নতুন নতুন ফসিল আবিষ্কার করতে লাগলাম, ততই পেতে থাকলাম ট্রানজিশনাল ফসিলের ভাণ্ডার। “ট্রানজিশনাল” শব্দটার অর্থ “এক পর্যায় থেকে আরেক পর্যায়ে উত্তরণের মধ্যবর্তী সময়”। তাই ট্রানজিশনাল ফসিল হলো, পূর্বপুরুষ থেকে নতুন প্রজাতি তৈরী হওয়ার আগে, অর্থাৎ এক প্রজাতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন আরেকটা প্রজাতি সৃষ্টি হওয়ার মাঝখানের সময়টাতে যে প্রজাতিগুলো বিচরণ করতো, সেগুলোর ফসিল। এগুলো অনেকের কাছে পরিচিত “মিসিং লিংক” (যদিও বিজ্ঞানীরা “মিসিং লিংক” বিশেষণটি ব্যবহার করেন না এবং অন্যদেরও ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করেন)।

কোনো একটি পূর্বপুরুষ এবং তা থেকে উদ্ভূত নতুন প্রজাতির মধ্যেকার সম্পর্ক বুঝা যায় ট্রানজিশনাল ফসিল থেকে। এই ফসিলগুলোর মধ্যে দুই প্রজাতিরই বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। যেমন, আর্কেওপ্টেরিক্স ডাইনোসরের ফসিল একটি ট্রানজিশনাল ফসিল। এটি প্রমাণ করে, আধুনিক পাখির পূর্বপুরুষ ছিল ডাইনোসর। এই কারণেই আমরা উপরে বলেছি, মুরগি এসেছে ডাইনোসর থেকে।

বিবর্তন অনেক বৃহৎ পরিসরের বিষয়! আমাদের এই ছোট্ট একটা পোস্টে মিলিয়ন মিলিয়ন বছরের প্রাণি বিবর্তন সম্পূর্ণ তুলে আনা সম্ভব নয়! তবুও যতটুকু পারা যায় তুলে ধরেছি। সামনে হয়তো বিবর্তন আরও তথ্যবহুল লেখা প্রকাশ করব আমরা! তবে যেটা বলতে চাই, বিবর্তনে অবিশ্বাস কিংবা বিবর্তন নিয়ে মন্তব্যের আগে এটা নিয়ে জানুন, পড়ুন এবং ঘাটুন। তারপর কথা বলুন বিবর্তন নিয়ে।

সূত্র: বিজ্ঞানযাত্রা

আরও পড়ুন: আপনি কি জানেন, নিজের অজান্তেই প্রতিনিয়ত খাচ্ছেন প্লাস্টিক?

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন: