Home » হার্ট অ্যাটাক রোগীদের জন্য জেনেটিক থেরাপি!
হার্ট অ্যাটাক রোগীদের জন্য জেনেটিক থেরাপি!

হার্ট অ্যাটাক রোগীদের জন্য জেনেটিক থেরাপি!

হার্ট অ্যাটাক কী?

হার্ট অ্যাটাকের ফলে বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। হার্ট সম্পূর্ণ শরীরে রক্ত সরবরাহের কাজ করে থাকে। করোনারি আর্টারি নামে হৃৎপিণ্ডের গায়ে ছোটো দুটি ধমনি আছে। এই করোনারি আর্টারিতে কোলস্টেরল জমে ধমনির রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টির ফলে হৃদযন্ত্রে রক্তস্বল্পতাজনিত কারণে অক্সিজেনের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে হার্ট অ্যাটাক (মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন) হয়।

প্রতি মিনিটে প্রায় ৭২ বার স্পন্দনের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড সারাদেহে পাম্পের মতো রক্ত সরবরাহ করে। এই হৃদযন্ত্রের কাজ বাধাগ্রস্ত হলে সেটা সারা দেহের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনে। হার্ট অ্যাটাকে বুকে প্রচণ্ড ব্যথার অনুভূতি হয় এবং এই ব্যথা মোটামুটিভাবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী হাসপাতালে পৌঁছার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেন। হার্ট অ্যাটাকের সময় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। আবার অনেক সময় রোগী বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং সেটা কিছু সময় পরে সেটা সেরে যেতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। যেমন: এটি রাতে ঘুমের মধ্যে হতে পারে, বিশ্রামের সময় হতে পারে, ভারী শারীরিক পরিশ্রমের সময় হতে পারে, আবার মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে হতে পারে ইত্যাদি। শতকরা ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয় এবং রোগী আর ঘুম থেকে জাগে না। হার্ট অ্যাটাক যেকোনো সময়ই হতে পারে।

 

প্রতিরোধে জেনেটিক থেরাপি

গবেষকরা একটি থেরাপির সন্ধান পেয়েছেন যার মাধ্যমে রোগীদের অ্যাটাকের পরে হার্টের কোষগুলো আবার প্রণোদিত করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে হৃদরোগে হার্ট হঠাৎ ব্লকিংয়ের কারণে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন, যা হার্ট অ্যাটাক নামে বেশি পরিচিত, হৃদরোগের মূল কারণ, যা এখন বিশ্বের ২৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার ওপর প্রভাব ফেলে।

বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকের পরে যেসব রোগী বেঁচে থাকে তাদের স্থায়ীভাবে হার্টে একটি ক্ষতি হয়ে যায় যা পরবর্তীতে আরও ভয়ংকর রুপ নিতে পারে। মাছ এবং কিছু সরীসৃপ প্রাণীর মাধ্যমে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব এমনটাই দাবি King’s College London এর গবেষকদের।

ওই গবেষক দলটি মাইক্রোআরএনএ -1999 নামক জেনেটিক উপাদানকে একটি ছোট্ট অংশে সরবরাহ করেছিল, যা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসনের পরে মাইক্রোআরএনএল-199 নামে পরিচিত ছিল, যার ফলে এক মাস পরে কার্ডিয়াক ফাংশনের প্রায় সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার ঘটে।

কিংডম কলেজ লন্ডন থেকে লিড লেখক, অধ্যাপক মৌরো গিয়াককা বলেন, ‘স্টেম সেলের মাধ্যমে আমাদের অনেকগুলো চেষ্টা বৃথা হয়েছে যা হার্ট ফাংশনকে পুনরুদ্ধার করতে পারেনি। এখানে আমাদের প্রথম সফলতা দেখতে পাচ্ছি যা বড়ো কোনো প্রাণীর হার্টকে আগের অবস্থানে আনতে সক্ষম।’ এটাই বিশ্বের প্রথম সফলতা যার মাধ্যমে অ্যানাটমি এবং ফিজিওলজিক্যালভাবে হার্টকে পুনর্জীবিত করতে পারে।

সোর্স: King’s College London

আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সার (প্রথম পর্ব)!

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন:

মন্তব্য করুন: