Home » প্রেগন্যান্ট না হয়েও, প্রেগন্যান্সি টেস্ট আসতে পারে পজেটিভ!
প্রেগন্যান্ট না হয়েও, প্রেগন্যান্সি টেস্ট আসতে পারে পজেটিভ!

প্রেগন্যান্ট না হয়েও, প্রেগন্যান্সি টেস্ট আসতে পারে পজেটিভ!

আমাদের দেশের একটা বিশাল গোষ্ঠী প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ হিসেবে মনে করে মাথা ঘোরা আর বমি লাগা। এটা হলেই সে প্রেগন্যান্ট এমন ধারণা করা হয়। আর কোনো অবিবাহিত মেয়ের এই দুইটা এক সাথেই হওয়াই যেন মানা। প্রেগন্যান্ট না কিন্তু প্রেগন্যান্সি টেস্ট কেন পজেটিভ আসে এটা জানতে হলে আমাদের আগে জানতে হবে প্রেগন্যান্সি টেস্ট স্ট্রিপ কীভাবে কাজ করে!

গর্ভবতী মায়ের প্লাসেন্টা (Placenta)-এর সিনসাইটোট্রফোব্লাস্ট কোষ (Syncytotrophoblast Cell) থেকে নিঃসৃত হয় হিউম্যান করিওনিক গোনাডোট্রফিন (HCG) হরমোন । এই হরমোন লেভেল বেড়ে গেলেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ হয়। গর্ভের প্রথম মাসে এটার পরিমাণ থাকে ৫-৫০ MIU/ml এর মতো। কিন্তু গর্ভকালীন সময়ের শেষের দিকে এটার পরিমাণ লাখও অতিক্রম করতে পারে।

এবার আসি কীভাবে প্রেগন্যান্ট না হয়েও রিপোর্ট পজেটিভ আসে:

বমি বন্ধ হওয়ার জন্য বাজারে বিভিন্ন নামে প্রোমিথাজিন (Promethazine) ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এগুলো খেলেও প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ হতে পারে। দেখা গেল এমন হলো যে, এক মেয়ে বাসে চড়লে বমি হয় বলে বমির ওষুধ খেয়েছে, বমি ভাব বা Motion Sickness বন্ধ হওয়ার জন্য। বাস থেকে নেমে আবার একটু মাথা ঘুরালো আর বমি বমি লাগল। সন্দেহ করে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করালো। এক্ষেত্রেও মিথ্যে পজিটিভ রেজাল্ট আসতে পারে।

মেয়েদের কিছু জার্ম সেল টিউমার (Germ cell Tumor) হতে পারে। যেমন: ডিজজার্মিনোমা (Dysgerminoma)। এটা ওভারির একটা টিউমারের নাম। এই রোগে অস্বাভাবিকভাবে HCG হরমোন নিঃসৃত হয়। তখন প্রেগন্যান্সি টেস্ট করলেও পজিটিভ হবে। কারণ এ সময় HCG লেভেল বেশি থাকে। এছাড়াও আরও কিছু টিউমার যেমন হাইডাটিডফর্ম মোল (Hydatiform Mole), কোরিওকারসিনোমা (Choriocarcinoma) থাকলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজেটিভ আসতে পারে। শরীরের যেখানে ইনসুলিন তৈরি হয় সেখানেও কিছু টিউমার হতে পারে যা HCG নিঃসরণ করে। যার ফলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট আসতে পারে পজেটিভ।

প্রেগন্যান্ট না হয়েও, প্রেগন্যান্সি টেস্ট আসতে পারে পজেটিভ!
ছবি: উইকিপিডিয়া

কুইক টেস্ট প্রেগন্যান্সি টেস্টের শেষ সমাধান না। অবিবাহিত মেয়ের প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজেটিভ আসলে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই ধরনের কেসে আরও ভালো মতো টেস্ট করানো ও চিকিৎসা করা দরকার! যদি কোনো সন্দেহ থাকে বা অস্বাভাবিক মনে হয় তাহলে সাথে সাথে ভালো গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আরও পড়ুন: পানি পড়া – তেল পড়া কীভাবে কাজ করে? – placebo effect

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন:

মন্তব্য করুন: