বাচ্চা বয়সে ভালো চুল গজানোর জন্য ন্যাড়া হওয়া লাগেনি এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। মানুষের একটা ধারণা, ন্যাড়া করলে ভালো ও মজবুত চুল গজায়। আসলে এটা কতটুকু সত্য? বিজ্ঞান বলে মানুষের চুল কেমন হবে তা নির্ভর করে ফলিকলস এর উপরে। আর প্রত্যেক মানুষ জন্মের সময়ই নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলিকলস নিয়ে জন্মাই। ন্যাড়া করা হলেও এই ফলিকলস-এর সংখ্যা বাড়ে না। চুল ঘন হবে না পাতলা, তা জিনের ওপর নির্ভর করে। তাই ভালো চুলের আশায় বাচ্চাকে বারবার ন্যাড়া করানো আসলে কিন্তু অর্থহীন। ন্যাড়া করার পর যে চুল গজায় তার মুখ মোটা হওয়ায় অনেক সময় মনে হয় যে বেশি চুল গজিয়েছে, কিন্তু তা আসলে সম্ভব নয়।
[ আরও পড়ুন: ফেটিসিজম : মেয়েদের অন্তর্বাস দেখে যৌন অনুভূতি ]
আদতে চুল আমাদের জেনেটিক বা বংশগত বৈশিষ্ট্য! তাই আমাদের চুল কেমন হবে তা নির্ভর করে আমাদের শরীরে ডিএনএতে থাকা জিনের উপর। মাথা ন্যাড়া করলে জিনের উপর কোনো প্রভাব পড়ে না, অর্থাৎ জিনগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয় না! তাই চুলের বৈশিষ্ট্যও পরিবর্তন হবার কোনো সম্ভাবনা নেই!
জন্মের সময় শিশুর মাথায় যে চুল থাকে, তা সাধারণত পাতলা ও নরম হয়। কারণ শিশু দীর্ঘ ৯ মাস মাতৃগর্ভে থাকে। শিশুর জন্মকালীন এই চুল এমনিতেও একটা বয়সের পর ঝরে গিয়ে নতুন চুল গজায়। ঠিক যেমন দুধে দাঁত পড়ে গিয়ে নতুন দাঁত গজায়। পরিণত চুল অনেক বেশি মোটা হয়।
[ আরও পড়ুন: নিজের ওয়েবসাইট থেকে কীভাবে বড় অঙ্কের টাকা আয় করবেন? ]
ন্যাড়া করলে কি চুল পড়া কমে?
অনেকে চুল পড়া থেকে মুক্তি পেতে ন্যাড়া করে থাকেন। কিন্তু এটা কি বৈজ্ঞানিকভাবে যুক্তিযুক্ত? না, আদতে ন্যাড়া করার সাথে চুল পড়ার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আপনি চুল ছোট রাখতে পারেন। এতে ধূলোবালি থেকে কিছুটা মুক্তি মিলবে। আর প্রত্যেকটা মানুষের এমনিতেই অনেক চুল পড়ে যায়। এরপর আবার নতুন চুল গজায়। সুতরাং ন্যাড়া করলেই চুল পড়ার সমাধান হয়ে যাবে এমনটা ভাবার প্রয়োজন নেই। এই ধারণা বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন!
[ আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর বোন ব্রোথ রেসিপি! ]
[ আরও পড়ুন: স্লিপিং প্যারালাইসিস – ঘুমের মধ্যে বিপদ! ]