Home » ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ : কোনটা নেবেন?
ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ : কোনটা নেবেন?

ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ : কোনটা নেবেন?

কেউ নতুন কোনো কম্পিউটার কেনার কথা চিন্তা করলেই প্রথমে মাথায় আসে ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ; কোনটা নেবে! অনেকে আবার দ্বিধায় ভুগেন এই বিষয়টা নিয়ে। আশা করি এই লেখাটি আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ : কোনটা নেবেন?

কম্পিউটার কেনার আগে আপনাকে ভাবতে হবে কেন কিনছেন কম্পিউটার! যদি অফিশিয়াল কাজে ব্যবহার করতে চান; এই যেমন- মেইল চেক, লেখালিখি, গান শোনার জন্য যদি কম্পিউটার কিনতে চান তবে ল্যাপটপ হবে বেস্ট। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ো যে সুবিধা পাওয়া যাবে তা হলো আপনি প্রয়োজন মতো নিয়ে বেড়াতে পারবেন। আপনি ঘরে যদি সময় না পান আর ভ্রমণপিপাসু হন, তবে অবশ্যই ল্যাপটপ নিন।

ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের সুবিধা অসুবিধা:

সব কিছুরই ভালো ও মন্দ দুটি দিকই রয়েছে। তো, চলুন ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের সুবিধা অসুবিধা আলোচনা করা যাক।

স্থায়িত্ব: ল্যাপটপ বহনযোগ্য বলে বেশি নাড়াছড়া করা হয়। এতে এর কোনো যন্ত্রাংশ ভেঙে গেলে তা তা পাওয়া যায় না। আর গেলেও তা বেশ ব্যয়বহুল! অন্যদিকে ডেস্কটপের যন্ত্রাংশ সহজলজ্য ও তুলনামূলক দামে কম।

কার্যক্ষমতা: ল্যাপটপ পিসির তুলনায় ডেস্কটপ পিসি বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। ডেক্সটপ পিসির সমান কার্যকরী ল্যাপটপ পিসি বেশ দামি।

কম্পাটিবিলিটি: মডেল, নির্মাতা, কোম্পানিভেদে ল্যাপটপের যন্ত্রাংশগুলোর মাঝে বেশ তারতম্য রয়েছে। যেগুলোর একটি আরেকটিকে সাপোর্ট করে না। তাই কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে সেই যন্ত্রাংশ খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। এই সমস্যা ডেস্কটপের ক্ষেত্রে নেই।

আপগ্রেড: ডেস্কটপের যন্ত্রাংশ যখন-তখন আপগ্রেড করা যায়। কিন্তু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তা ভীষণ ঝামেলার ব্যাপার। প্রসেসর, মাদারবোর্ড, ডিসপ্লে, গ্রাফিক্স কার্ড আপগ্রেড করা যায় না। তবে র‍্যাম, হার্ডডিস্ক ও অপটিক্যাল ড্রাইভ ইত্যাদি আপগ্রেড করা যায়।

জায়গা: ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করতে একটা ছোটো টেবিল সাইজের জায়গা অলটাইম লাগে, আর এটা নাড়াচাড়া করা সম্ভব না তাই রুমে ওই জায়গাটা কম্পিউটারের জন্য বরাদ্দ করে ফেলতে হয়। অন্য দিকে ল্যাপটপ আকারে ছোটো, খুব বেশি জায়গা নষ্ট করে না, টেবিলে, বিছানায়, কোলের ওপর, সোফায়, যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করা যায়। ব্যবহার শেষে বন্ধ করে ব্যাগে ভরে আলমারি বা শেলফে রেখে দেওয়া যায়। এটা ল্যাপটপের সবচেয়ে বড়ো সুবিধা!

ল্যাপটপ বনাম নোটবুক:

অনেকে দ্বিধায় থাকেন, ল্যাপটপ কিনবেন না নোটবুক কিনবেন? ল্যাপটপ ও নোটবুক এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। অনেকে মনে করতে পারেন দুটোই তো একই জিনিস। আবার অনেকে মনে করতে পারেন নোট আকারের ল্যাপটপগুলোকেই নোটবুক বলে। নোটবুক ল্যাপটপের ছোটো ভার্সন। এদের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। ল্যাপটপ ও নোটবুক এর পার্থক্য ভালো ভাবে বোঝার জন্য পাঠকদের জন্য তা নিম্নে তুলে ধরা হলো:

আকার: ল্যাপটপের আকার বড়ো বা মাঝারী হয়। অপরদিকে নোটবুক এর আকার ছোটো হয়।

প্রসেসর: ল্যাপটপের প্রসেসর ইন্টেল, সেলেরন থেকে কোর আই হয়। অপরদিকে নোটবুক এর প্রসেসর ইন্টেল অ্যাটম, সেলেরন হয়।

হার্ডডিস্ক: ল্যাপটপের প্রসেসর বেশি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন, ৫৪০০-৭২০০ আরপিএম গতির হার্ডডিস্ক। অপরদিকে নোটবুকের কম ক্ষমতার সলিড স্ট্রিট হার্ডডিস্ক।

ডিসপ্লে: ল্যাপটপের ডিসপ্লে ১৩-২০ ইঞ্চি ও নোটবুকের ডিসপ্লে ১৩ ইঞ্চি এরকম হয়।

গ্রাফিক্স কার্ড: এনভিডিয়া বা ইন্টেল চিপ সেটের কার্ড থাকে ল্যাপটপে। আর নোটবুকে সাধারণ উপযোগী ন্যূনতম গ্রাফিক্স কার্ড।

ডিস্ক ড্রাইভ: ল্যাপটপে ডিভিডি রম থাকে আর নোটবুকে থাকে না।

বিদ্যুৎ শক্তি: ল্যাপটপে বিদ্যুৎ শক্তি বেশি খরচ হয় আর নোটবুকে খুব কম হয়।

ব্যাটারি লাইফ: ল্যাপটপে ৩-৮ ঘণ্টা আর নোটবুকে ৩-১২ ঘণ্টা।

প্রিয় পাঠক, ভারি কোনো কাজ কাজ করতে এবং অনেকক্ষণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডেস্কটপ নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আর গেমিং এর ক্ষেত্রে কোনো কথায় নেই।

আশা করি, এই আলোচনা থেকে আপনারা ডেস্কটপ নাকি ল্যাপটপ : কোনটা নেবেন; সে বিষয়ে ধারণা পেয়েছে। কেউ কোনোকিছু না বুঝলে কমেন্ট করুন। এই ধরনের আর্টিকেলে পড়তে বিজ্ঞান নিউজে চোখ রাখুন।

আরও পড়ুন: এলসিডি আর এলইডি মনিটরের মধ্যে পার্থক্য কী?

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন:

মন্তব্য করুন: